শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
করোনাকালে খাদ্যের ওপর চাপ বাড়ায় আমদানি করে মজুদ বাড়াচ্ছে সরকার

করোনাকালে খাদ্যের ওপর চাপ বাড়ায় আমদানি করে মজুদ বাড়াচ্ছে সরকার

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে। আর বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে গত দুই বছরে দেশে অন্তত ৩০ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে। যারা আর কাজে ফিরে যেতে পারেনি। ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা বাড়লেও সে হারে উৎপাদন বাড়েনি। তাতে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতির ওপর এক ধরনের চাপ গৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন করে ২২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। ওসব মানুষের আয়ও কমে গেছে। ফলে তাদের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে। খরচ কমাতে মানুষ আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভাত ও রুটি খাচ্ছে। তাতে বছরের ব্যবধানে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্য হিসেবে চাল-গম বা ভাত ও রুটির চাহিদা অনেকখানিই বেড়েছে। ফলে খাদ্য মজুদ কমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে আমদানি করে খাদ্য মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী শুরুর প্রাক্কালে সরকার খাদ্য মজুদ বাড়িয়েছিল, যা ছিল মূলত খাদ্য সংকট এড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ। ফলে বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে তেমন পরিস্থিতির গৃষ্টি হয়নি। বছরের ব্যবধানে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে বিশ্বের সব দেশই তাদের অভ্যন্তরীণ খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশও খাদ্য মজুদ বাড়াচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও প্রায় ৭ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করছে সরকার। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও বিভিন্ন ধরনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২০২১-২২ বাজেটেও এমন কিছু উদ্যোগ থাকবে, যার মাধ্যমে কৃষকদের সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে সার, ডিজেলসহ কৃষি সরঞ্জাম পৌঁছে দেবে সরকার। সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ের বাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। সামনে যাতে চালের বাজার কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো তীক্ষè দৃষ্টি রাখছে। বিগত ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্যের সরকারি মোট মজুদ ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার টন। তার মধ্যে চাল ৫ লাখ ৪৮ হাজার টন এবং গম ১ লাখ ৫৬ হাজার টন। অথচ ৬ মাস আগেও খাদ্যপণ্য মজুদ ছিল ১০ লাখ টনের বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনা-পরবর্তী বিশ্বজুড়ে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০ কোটি বাড়তে পারে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ১৬ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার ৩ কোটি ৩০ লাখ দরিদ্র। তার মধ্যে আবার ১ কোটি ৭০ লাখ অতিদরিদ্র। তবে বেসকারি গবেষণা সংস্থাগুলোর মতে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, করোনার পরবর্তী দিনগুলোতে বিশ্বমন্দার ভয়াল থাবার পাশাপাশি হানা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্য পূরণ করতে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এমন প্রেক্ষাপট কৃষিপ্রধান বাংলাদেশকে কৃষি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কারণ এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে ১০টি অভীষ্টই কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। ফলে সামনের দিনগুলোতে খাদ্য সংকট হতে পারে এমন আশঙ্কাকে আমলে নিয়েই মজুদ ও উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সূত্র আরো জানায়, দেশে প্রতিবছর চালের চাহিদা প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন। সেখানে সরকার বছরে কম-বেশি মাত্র ১০-১২ লাখ টন চাল অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্র করে। যা মোট উৎপাদনের তুলনায় যৎসামান্য। এমন অবস্থায় সরকারিভাবে ধান-চাল মজুদের গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে কৃষকের উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, খাদ্যশস্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা, নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা, ত্রাণ বিতরণ, স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে খোলাবাজারে বিক্রি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ নানা চ্যানেলে চাল সরবরাহের কারণে সরকারিভাবে সন্তোষজনক খাদ্যশস্য মজুদ রাখা প্রয়োজন। এ কারণে সরকার প্রতিবছরই নিরাপদ খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে বোরো ও আমন মৌসুমেই কম-বেশি চাল-গম অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহ করে। আর সরকারের গুদামে নিরাপদ খাদ্য মজুদ না থাকলে বাজার স্থিতিশীল রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। কোনো কারণে চালের দাম বাড়লে সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজারে চাল বিক্রি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ না করে, তাহলে চাল-আটার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক জানান, দেশে খাদ্যের উৎপাদন ও ভোগের তথ্যে ঘাটতি থাকতে পারে। নয় তো বাজারে এভাবে যখন-তখন ধান-চালের দাম বাড়তো না। আবার খাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে। সরকার চেষ্টা করছে একটা সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পেতে, যার মাধ্যমে নির্ণয় করা যাবে খাদ্যের চাহিদা ও মজুদ আর উৎপাদনের প্রকৃত পরিসংখ্যান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com